পঞ্চখণ্ড আই ডেস্ক: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, শিক্ষক পদত্যাগের নামে সারা দেশে যা হচ্ছে, যে প্রক্রিয়ায় হচ্ছে সেটা সমর্থনযোগ্য নয়। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব বলেন।
তিনি বলেন, কেউ যদি ফ্যাসিস্টদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে অন্য শিক্ষক বা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অন্যায় করে তাহলে নিয়মতান্ত্রিকভাবে আইনের মধ্য দিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিচার হোক। কিন্তু আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া, মব জাস্টিস করা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীর যে শ্রদ্ধা ও স্নেহের সম্পর্ক আমাদের শিক্ষার পরিবেশকে সুন্দর করে তুলতে পারে সেই সম্পর্ক যেন তিক্ততার না হয়, দূরত্বের না হয়, ভীতির না হয়। কোনো শিক্ষার্থী তার শিক্ষকদের পদত্যাগে বাধ্য করতে পারে না। অনেক শিক্ষার্থী হয়তো জানেই না যে তাদের ব্যবহার করে অন্য শিক্ষক এ কাজটি করাচ্ছে ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য। যারা বিভিন্ন উদ্দেশ্যে অন্যায় প্রক্রিয়ায় এ কাজগুলো করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
সারজিস আলম বলেন, অনেক শিক্ষক আমাদের সহযোগিতা করেছে কারণ তারা মনে করেছিল তৎকালীন সরকারের পরিবর্তনের ফলে নতুন যে সরকার আসবে তাতে তাদের লাভ হবে। অনেক শিক্ষক এমনভাবে কথা বলছে যেন তিনি ফেরেশতা। কিন্তু তিনি শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে অন্য শিক্ষককে পদত্যাগ করাচ্ছেন যাতে নিজে সেখানে বসতে পারেন।
তিনি বলেন, আমরা অন্তর্বর্তী সরকার এবং প্রশাসনকে স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই, যদি কোনো শিক্ষক ফ্যাসিস্ট সরকারের তেলবাজি করে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির দিনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান। এরপরই বিলুপ্ত হয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ। পরে ছাত্র-জনতার দাবির মুখে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং ১৬ জনকে উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন। এরপর অন্তর্বর্তী সরকারে যুক্ত হন আরও চার উপদেষ্টা।
শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর সারা দেশে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, প্রক্টরসহ প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা অনেকেই পদত্যাগ করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গতিশীল করার লক্ষ্যে এরই মধ্যে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান।
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: আতাউর রহমান
আইন-উপদেষ্টা: ব্যারিস্টার আবুল কালাম চৌধুরী
বানিজ্যিক কার্যালয়: সমবায় মার্কেট, কলেজ রোড,
বিয়ানীবাজার পৌরসভা, সিলেট থেকে প্রকাশক কর্তৃক প্রকাশিত।
ই-মেইল: 𝐩𝐚𝐧𝐜𝐡𝐚𝐤𝐡𝐚𝐧𝐝𝐚𝐞𝐲𝐞@𝐠𝐦𝐚𝐢𝐥.𝐜𝐨𝐦 মোবাইল নম্বর: ০১৭৯২৫৯৮১২৯